Swertia
চিরতা একটি ভেষজ উদ্ভিদ যা ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থান ও আশেপাশের দেশে প্রচুর জন্মে।
জেসিএনেসি বর্গের অন্তর্গত এই গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম Swertia chirayita (Roxb. ex Fleming) H. Karst.। হিন্দীতে এর নাম “চিরায়াতা”।
ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণে চিরতার উপকারিতা পাওয়া যায়। ব্লাড সুগারের বিভিন্ন সমস্যা সারিয়ে তুলতে এর তিক্ত স্বাদ সাহায্য করে। প্যানক্রিয়াসের কোষে ইনসুলিনের উৎপাদন উত্তেজিত করে ব্লাডসুগার কমায় চিরতা।
আর্থরাইটিসের চিকিৎসায়
আর্থরাইটিসে জয়েন্টে ব্যথা এবং ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। প্রদাহনাশম গুণের কারণে চিরতা আর্থরাইটিসের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও যেকোনো ব্যথা, ফুলে যাওয়া, এবং লালচেভাবের চিকিৎসায় চিরতা যথেষ্ট কার্যকর।
পেটফাঁপার সমস্যায় কার্যকর
আমাদের শরীরে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল ক্ষুদ্রান্ত্র। কোনরকম খাদ্য বিষক্রিয়া এবং অন্যান্য জীবাণুর কারণেও এই অঙ্গের বিভিন্ন অসুখ দেখা যায়। ক্ষুদ্রান্ত্র থেকে কৃমি বের করে দিয়ে চিরতা এই অঙ্গকে বিভিন্ন জীবাণু এবং রোগের হাত থেকে বাঁচায়।
জ্বর সারাতে
জ্বরের মতো সাধারণ রোগেও চিরতা যথেষ্ট কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিশেষত ম্যালেরিয়ার সংক্রমণে এটি খুবই কার্যকর। বয়স্কদের জ্বরের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং তিক্ত টনিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
পেটের অসুখে
পরিপাকতন্ত্রে অ্যাসিডের উৎপাদন কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে চিরতা। ক্ষুদ্রান্ত্রের ফুলে যাওয়া কমাতেও সাহায্য করে এটি। এর মাধ্যমে ডায়রিয়া, গ্যাস এবং পেট ফোলার অসুখ কমানো যায়।
ক্যানসারের মতো অত্যন্ত জটিল রোগ সারিয়ে তুলতেও চিরতা সক্রিয় ভূমিকা পালন ক’রে থাকে। এখনও আমাদের মাঝে ক্যানসার প্রতিকারযোগ্য নয়। বিশেষত লিভার ক্যানসার সারিয়ে তুলতে চিরতা সক্রিয় ভূমিকা নেয়।
চিরতা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
গর্ভবতী এবং স্তন্যদায়ী মায়েদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শের পরেই চিরতা ব্যবহার করা উচিত।
অনেকেই এর অত্যন্ত তিক্ত স্বাদের কারণে বমি ক’রে ফেলেন বা বমিভাব দেখা দেয়। সেইসাথে ডায়াবেটিসের রোগীদের এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত।

.jpeg)

No comments:
Post a Comment