পরিচলন বৃষ্টি(Convectional Rainfall):
শরৎ এর শেষে প্রায় সময় আমরা দেখি হঠাৎ করেই নির্দিষ্ট একটা জায়গায় বৃষ্টি পড়ছে আশপাশে পড়ছেনা।যদিও আমাদের দেশে খুব কম এটা দেখা যায় তবে নিরক্ষীয় অঞ্চলে এ বৃষ্টি খুব বেশি হয়ে থাকে।
সূর্যের উত্তাপে ভূপৃষ্ঠের সমুদ্র, হ্রদ, নদী, পুকুর, খাল, বিল প্রভৃতি জলরাশি থেকে জল জলীয়বাষ্পে পরিণত হয় । সাধারণ বায়ুর তুলনায় জলীয়বাষ্প হালকা বলে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু সোজা উপর দিকে উঠে যায় । উপরের বায়ুমণ্ডলের প্রবল শৈত্যের সংস্পর্শে এলে ঘনিভবনের ফলে জলীয়বাষ্প ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণায় পরিণত হয় ও বাতাসের ধূলিকণাকে আশ্রয় করে মেঘের আকারে আকাশে ভেসে থাকে । জলকণাগুলি যখন পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হয়ে বড় বড় জলকণায় পরিণত হয় তখন সেগুলি নিজেদের ভারে ও পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে বাতাসে আর ভেসে থাকতে পারে না । তখন সেই মেঘ থেকে জলকণাগুলি প্রধানত জলের ফোঁটার আকারে ঝরঝর করে ভূপৃষ্ঠে পতিত হয় । এই রকম বৃষ্টিপাতকে পরিচলন বৃষ্টিপাত Convectional Rainfall বলা হয়।
এই বৃষ্টিপাত হঠাৎ কেউ পর্যবেক্ষণ করলে তার কাছে মনে হবে এটা জাদুর মত কাজ করতেছে।
এধরণের বৃষ্টি পাত ফোটা ফোটা পড়ার পরিবর্তে মগ দিয়ে আমরা মাথায় পানি ঢালার মত পড়ে।
নিরক্ষীয় অঞ্চলে পরিচলন বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ার কারণ:- পরিচলন বৃষ্টিপাতের জন্য:-
বায়ুমণ্ডলে যথেষ্ট উষ্ণতা এবং
এই উষ্ণতার সাহায্যে বাষ্পীভূত হওয়ার জন্য প্রচুর জলভাগের প্রয়োজন ।
পৃথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চলে পরিচলন বৃষ্টিপাত ঘটানোর জন্য প্রয়োজনীয় দুটি প্রধান শর্তই ভালোভাবে পূরণ হয়, তাই নিরক্ষীয় অঞ্চলে পরিচলন বৃষ্টিপাত বেশি হয়। উদাহরণ:- নিরক্ষীয় অঞ্চলে যেমন, কঙ্গো ও আমাজন নদীর অববাহিকায়, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর প্রভৃতি অঞ্চলে বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় এই অঞ্চলে সারা বছর ধরেই পরিচলন বৃষ্টিপাত হয় । প্রধানত অপরাহ্নের দিকে বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল বৃষ্টিপাত হল পরিচলন বৃষ্টিপাতের প্রধান বৈশিষ্ট্য ।
এছাড়া নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলে গ্রীষ্মকালের শুরুতে এবং ভারতীয় উপমহাদেশে সাধারণত শরৎকালে পরিচলন বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে ।
☔⛈🌈

No comments:
Post a Comment